প্রকাশিত: ২৬ মে, ২০২৫ ১২:৩১ (সোমবার)
স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র উৎসব মঙ্গলবার থেকে বসছে ৮ বিভাগীয় শহরে

সিনেমার প্রচার ও বিকাশে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে দেশের ৮টি বিভাগীয় শহরে অনুষ্ঠিত হবে ‘চতুর্থ বাংলাদেশ স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র উৎসব ২০২৫'।

মঙ্গলবার থেকে ৩১ মে পর্যন্ত টানা পাঁচদিন ৮টি শহরে একযোগে এই উৎসব চলবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে শিল্পকলা একাডেমি।

উৎসবের চলচ্চিত্র প্রদর্শনী সবার জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। ৮টি বিভাগীয় শহরে নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে।

এবারের উৎসবে সারাদেশ থেকে বিভিন্ন দৈর্ঘ্যের ৩০০টি চলচ্চিত্র জমা পড়েছে। সেগুলোর মধ্যে ২০৯টি ফিকশন এবং ৯১টি প্রামাণ্যচিত্র।

পরবর্তীতে সিলেকশন কমিটির মাধ্যমে প্রথমিক যাচাই বাছাইয়ের ভিত্তিতে ৮৯টি চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর জন্য নির্বাচন করা হয়; এর মধ্যে ৬০টি ফিকশন এবং ২৯টি প্রামাণ্যচিত্র।

শিল্পকলা একাডেমি বলছে, "চলচ্চিত্র শিল্পের প্রসার, বিকাশ এবং মানসম্মত দেশীয় স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র প্রক্ষেপণ এবং অনুধাবন করাসহ চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট সবাইকে এই উৎসবের মাধ্যমে চলচ্চিত্রের অন্তর্নিহিত তাৎপর্য এবং মানবিক ও সামাজিক মূল্যবোধ সৃষ্টি করাই এ উৎসবের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।"

এর আগে ২০১৬, ২০১৮ ও ২০২১ সালে তিনবার এই উৎসব আয়োজন করা হয়েছিল।

‘মাস্টার ক্লাস’ শুক্রবার

উৎসবে প্রদর্শিত চলচ্চিত্রগুলোর নির্মাতাদের মধ্য থেকে সর্বোচ্চ ৩০ জনকে নিয়ে শুক্রবার দিনব্যাপী জাতীয় নাট্যশালার আর্কাইভ রুমে ‘মাস্টার ক্লাসের’ আয়োজন করা হবে।

মাস্টার ক্লাসের বিষয় হবে সাউন্ড এন্ড সিনেমাটোগ্রাফি। প্রশিক্ষক হিসেবে থাকবেন নাহিদ মাসুদ এবং রাশেদ জামান।

উৎসবের উদ্বোধন করবেন চলচ্চিত্র নির্মাতা অনম বিশ্বাস। সমাপনী দিনে প্রধান অতিথি থাকবেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।

সভাপতিত্ব করবেন শিল্পকলা একাডেমির সচিব ও দায়িত্বপ্রাপ্ত মহাপরিচালক মোহাম্মদ ওয়ারেছ হোসেন।

পুরস্কার

আয়োজকেরা জানিয়েছেন, উৎসবে দেখানো সিনেমাগুলো থেকে জুরি কমিটি পুরস্কারের জন্য চূড়ান্তভাবে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র, শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং বিশেষ জুরি নির্ধারণ করবেন।

এছাড়া সার্বিকভাবে ৪টি বিশেষ পুরস্কার নির্ধারণ করবেন তারা। এগুলো হলো শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক, শ্রেষ্ঠ সম্পাদনা, শ্রেষ্ঠ শব্দ পরিকল্পনা এবং শ্রেষ্ঠ প্রযোজনা পরিকল্পনা।

পুরস্কারের অর্থ মূল্য হিসেবে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের জন্য ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা, শ্রেষ্ঠ নির্মাতা পাবেন ১ লাখ টাকা এবং বিশেষ জুরির জন্য ৫০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

তাছাড়াও বিশেষ পুরস্কারের অর্থ মূল্য হিসেবে, শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক, শ্রেষ্ঠ সম্পাদনা, শ্রেষ্ঠ শব্দ পরিকল্পনা এবং শ্রেষ্ঠ প্রযোজনা পরিকল্পনা হিসেবে প্রতিটির জন্য ৩০ হাজার টাকা করে নির্ধারণ করা হয়েছে।

চলচ্চিত্রের নির্মাতারা সবাই সনদসহ উৎসব স্মারক পাবেন।