প্রকাশিত: ৩০ মে, ২০২৫ ১৪:৫০ (সোমবার)
মৌলভীবাজার সীমান্তে ২৯ জনকে পুশইন

মৌলভীবাজারের দুই উপজেলার সীমান্ত এলাকা দিয়ে ২৯ জনকে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। আজ শুক্রবার ভোরে কমলগঞ্জ ও সকালে জুড়ী উপজেলা থেকে তাদের আটক করে বিজিবি। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে নারী ও শিশু আছে।

বিজিবির রাজকি বিওপি ক্যাম্পের কমান্ডার নায়েক সুবেদার আবুল হাশেম বলেন, নিম্নচাপের প্রভাবে আজ সকাল থেকেই মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। এরই মধ্যে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ওই ১০ জনকে সীমান্ত এলাকায় সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়। এরপর ওই ব্যক্তিদের আটক করে ক্যাম্পে আনা হয়। আটক ১০ জনের মধ্যে ৪ শিশু, ৪ জন পুরুষ ও ২ জন নারী রয়েছেন। তাঁরা বৃষ্টিতে ভিজে জবুথবু অবস্থায় ছিলেন। জিজ্ঞাসাবাদে ওই ব্যক্তিরা জানান, তাঁদের বাড়ি কুড়িগ্রামে। বিএসএফ ভোরের দিকে তাঁদের ঠেলে এপারে পাঠিয়েছে। তাঁদের পূর্ণাঙ্গ নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করা হচ্ছে।

আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে আবুল হাশেম আরও বলেন, আটক ব্যক্তিরা জীবিকার সন্ধানে বেশ আগে ভারতে চলে যান। সেখানে হরিয়ানা রাজ্যে তারা দিনমজুরের কাজ করতেন। ৯ মে সেখানকার পুলিশ তাদের আটক করে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করে। এ সময় তাদের মুঠোফোন ও পরিচয়পত্র জব্দ করা হয়। আটক ব্যক্তিরা ক্ষুধার্ত ছিলেন। ক্যাম্পে আনার পর তাদের খাবার দেওয়া হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে তাদের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে কমলগঞ্জ উপজেলার পৃথক দুটি সীমান্ত এলাকা থেকে শিশুসহ ১৯ জনকে আটক করা হয়েছে। আজ ভোর চারটার দিকে উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা বাগীছড়া থেকে ৫ জন ও চাম্পাছড়া এলাকা থেকে ১৪ জনকে আটক করা হয়।

বিজিবি ৪৬ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জাকারিয়া জানান, আজ ভোর চারটার দিকে কমলগঞ্জের বাগীছড়া সীমান্ত এলাকা থেকে ৫ জন ও সকাল ৭টার দিকে চাম্পাছড়া সীমান্ত এলাকা থেকে ১৪ জনকে বিজিবির টহল দল আটক করে। প্রথম পাঁচজনকে কমলগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হচ্ছে। তারা নিজেদের কুড়িগ্রামের বাসিন্দা বলে দাবি করেছেন। অন্যদের তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। আটক ব্যক্তিদের সবাইকে কমলগঞ্জ থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।