প্রকাশিত: ১০ জুন, ২০২৫ ১৭:৪৯ (সোমবার)
আমি সাধারণ মানুষ, সাধারণভাবেই বাঁচতে চাই: রুনা খান

জনপ্রিয় অভিনেত্রী রুনা। সাম্প্রতিক সময়ে অভিনয়ের বাইরেও নিজের স্টাইলিশ ইমেজ নিয়ে দারুণভাবে আলোচিত তিনি।  ঈদ উপলক্ষে ভিন্ন তিনটি কন্টেন্ট নিয়ে হাজির হয়েছেন তিনি। ৫ জুন হইচইয়ে মুক্তি পেয়েছে বোহেমিয়ান ঘোড়া অন্যদিকে আইস্ক্রিনে জুন মুক্তি পেয়েছে শাহরিয়ার নাজিম জয় পরিচালিত পাপ কাহিনী জানালেন,এই দুইটা সিরিজ থেকে দারুন সাড়া পাচ্ছি। এছাড়া তৌফিক এলাহী পরিচালিত নীলপদ্ম সিনেমাও আইস্ক্রিনে মুক্তি পেয়েছে। 

বোহেমিয়ান ঘোড়ায় নিজের চরিত্র সম্পর্কে বললেন, এখানে আমার চরিত্রের নাম আম্বিয়া। সে একটা ভাতের হোটেলের মালিক। ভীষণ দাপুটে, রগচটা একটা নারী। তবে তিনি ভীষণ আত্মবিশ্বাসী। সে তার স্বামী আব্বাসের প্রতি দূর্বল। এর থেকে বেশি কিছু বলা ঠিক হবে না। তবে নির্মাতা অমিতাভ রেজা প্রথম স্ক্রিপ্ট দেখেই বলেছেন আম্বিয়া চরিত্রটা রুনাকে ছাড়া অন্য কাউকে দিয়ে হবে না।

পাপ কাহিনী দর্শক কেন দেখবেন? এ ব‌্যাপারে অভিনেত্রীর মন্তব‌্য, হ্যাঁ, কয়েকদিন হল আমিও দেখছি মানুষ এই সিরিজ নিয়ে ভালোই আলোচনা করছেন। বড় কথা হলো, দর্শক এখন নানা মেজাজের জিনিস দেখতে পছন্দ করেন। পাপ কাহিনী হল ভিন্ন মেজাজের একটি সিরিজ। এখানে দর্শক ভালো একটি গল্প পাবে।

বেশির ভাগ সময় ঢাকাতে ঈদ করলেও এবারে ব‌্যতিক্রম। মেয়ের স্কুলে লম্বা ছুটি থাকায় পুরো পরিবারসহ ঢাকার বাইরে ঈদ করেন। পর্দার জীবনের সঙ্গে ব‌্যক্তি জীবন মেলাত চান না। এমনকি বিপুল গাড়ি, বাড়ি নিয়েও বাড়তি আকর্ষণ নেই। বললেন, আমি সাধারণ মানুষ। সাধারণভাবেই বাঁচতে চাই।

অতীত ও বর্তমানের ঈদের ফারাক নিয়ে রুনা খান বলেন, ছোট বেলার ঈদে নতুন জামা-জুতা পড়ে আমরা দাদার-বাড়ি নানুর বাড়ি যেতাম। কাজিন-পাড়াপ্রতিবেশি সবাই একসঙ্গে ঘুরে বেড়াতাম। তখন তো কোনো দায়িত্ব ছিলো না। এখন কাঁধে অনেক দায়িত্ব। সংসার হয়েছে। সমস্ত দায়িত্ব পার করে হয়তো বিকেলে একটু বের হই। বন্ধুরা আসে বা বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হয়। এখন ঈদ বা বিশেষ দিন মানে পারিবার এবং একেবারেই কাছে বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানো।

গত রোজার গেল ঈদের আগে অর্থাৎ ১০ মার্চ আমার বাবা প্রয়াত হয়েছেন। গেল রোজার ঈদ কোরবানির ঈদ আমরা দুই ভাই বোন বাবাকে ছাড়া ঈদ করছি। এটা নিয়ে কিছু বলতে চাই। বাবার কথা মনে হলেই বকুটা ভারি হয়ে আসে। ভবিষ্যতে যত ঈদ আসবে আমাদের মনে নাড়া দেবে যে, আব্বু নেই। কারণ, আমি খুবই পরিবার কেন্দ্রেীক মানুষ। ছোটবেলা থেকেই আমি বাবা-মা-ভাই বোন আমার পরিবার। এখনো স্বামী-সন্তান নিয়ে আমার পরিবার। তো আমার কাছে পরিবার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেই গুরুত্বপূর্ণ একজন ব্যক্তি যখন হারিয়ে যায়, তখন কষ্ট পাওয়া ছাড়া আর কিছুই থাকে না। এই কষ্ট মেনে নিতে হয়, মেনে নিতে হবে।

তিনটি সিনেমার শুটিং শেষ করেছেন রুনা খান। এর মধ‌্যে মাসুদ পথিকের বক, কৌশিক সংকর দাশের দাফন, জাহিদ হোসেনের নীলবন্ধন এর মধ্যে সোহেল রানা বয়াতির স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমায় নিদ্রাসুর-এর অভিনয় করেছেন। রুনা খান বলেন, এছাড়া আরও একটি সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছি; সেটার নাম বলা নিষেধ আছে। একমাস নির্মাতা প্রযোজকের টিম থেকে ঘোষণা আসবে।