amrar আজ সোমবার | ০৪ আগস্ট ২০২৫ | ... |

অন্যান্য

নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আসা শুরু, ইউনিট ৭ টাকা ৮৭ পয়সা

প্রকাশ: ১৫ জুন ২০২৫ ২৩:৩৪

নেপাল থেকে আমদানি বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে। শনিবার রাত ১২টার দিকে ভারতের সঞ্চালন লাইন ব্যবহার করে দেশটি থেকে প্রথম ৩৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বাংলাদেশে আসে। চুক্তি অনুযায়ী প্রতি ইউনিটের দাম ৭ টাকা ৮৭ পয়সা (৬ দশমিক ৪ সেন্ট)। ভারতের মুজাফফরপুর-বাহারামপুর হয়ে বাংলাদেশের ভেড়ামারা দিয়ে এ বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে।

বাংলাদেশ-নেপাল পাঁচ বছর মেয়াদি চুক্তি করেছে। প্রতিবছর ১৫ জুন থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত পাঁচ মাস বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানি করবে নেপাল। গত বছরের ১৫ নভেম্বর চুক্তি বাস্তবায়নে প্রতীকী হিসেবে এক দিনের জন্য বাংলাদেশে বিদ্যুৎ দিয়েছিল নেপাল।

পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশের (পিজিসিবি) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার রাত ১২টা থেকে নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আমদানি শুরু হয়। রোববার বিকেল ৫টা পর্যন্ত প্রতি ঘণ্টায় ৩৮ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ যুক্ত হয়েছে। ভারতের ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইন ব্যবহার করে ঘণ্টায় ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ রপ্তানি করছে নেপাল।

খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে বিদ্যুৎ কেনাবেচার বিশেষ সুযোগ রয়েছে। কারণ, নেপাল জলবিদ্যুৎনির্ভর দেশ এবং তাদের বিপুল পরিমাণ উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে। গ্রীষ্ম মৌসুমে (জুন-নভেম্বর) নেপালে চাহিদার চেয়ে বেশি জলবিদ্যুৎ উৎপাদন হয়, যা ওই সময়ে বাংলাদেশ চাহিদা পূরণে ব্যবহার করতে পারে। আবার শীত মৌসুমে (নভেম্বর-মার্চ) নেপালের অধিকাংশ জলভাগ জমে বরফ হয়ে যায়। এতে বিদ্যুৎ উৎপাদন হ্রাস পায়। সেই সময় বাংলাদেশে চাহিদা কমে ৭-৮ হাজার মেগাওয়াটে নেমে আসে। উৎপাদন সক্ষমতার বড় অংশ অলস থাকে। বাংলাদেশ উদ্বৃত্ত বিদ্যুৎ শীত মৌসুমে নেপালে রপ্তানি করতে পারে। এতে উভয় দেশ লাভবান হওয়ার সুযোগ রয়েছে।

আলোচনার ধারাবাহিকতায় ২০২৩ সালের মাঝামাঝি নেপালের সাবেক প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহাল ভারত সফরে এসে বাংলাদেশে জলবিদ্যুৎ রপ্তানি নিয়ে আগ্রহ দেখান। এর পর ২০২৪ সালের ১১ জুন সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি বিদ্যুৎ কেনার অনুমোদন দেয়। একই বছরের ৩ অক্টোবর কাঠমান্ডুতে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি হয়।

এতে অংশ নেয় নেপাল ইলেক্ট্রিসিটি অথরিটি (এনইএ), বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) ও ভারতের এনটিপিসি বিদ্যুৎ ব্যবসা নিগম (এনটিপিসি)। চুক্তি অনুযায়ী, ২০২৯ সাল পর্যন্ত বছরের নির্দিষ্ট পাঁচ মাস ঢাকায় আসবে নেপালের বিদ্যুৎ।

এ ছাড়া নেপালের সুঙ্কোশি-৩ বিদ্যুৎ প্রকল্পে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে পিডিবি, যা নিয়ে দু’দেশের মধ্যে আলোচনা চলছে।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট চালু এ বছরই: রুশ রাষ্ট্রদূত

চলতি বছরের শেষ নাগাদ রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট চালু হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার জি খোজিন। 

রোববার (১৫ জুন) রাশিয়া দিবস উপলক্ষে ঢাকায় আয়োজিত এক বিশেষ অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রাষ্ট্রদূত বলেন, এ বছর রাশিয়া দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিজয়ের ৮০ বছর উদযাপন করছে। একইসঙ্গে সোভিয়েত পারমাণবিক শিল্প প্রতিষ্ঠারও ৮০ বছর। এই গৌরবময় সময়ে রূপপুর প্রকল্পের অগ্রগতি আমাদের জন্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।

তিনি জানান, রুশ ও বাংলাদেশি প্রকৌশলীদের যৌথ প্রচেষ্টায় রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে এবং প্রথম ইউনিট উদ্বোধনের সব প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে রয়েছে।

রাষ্ট্রদূত বলেন, রূপপুর প্রকল্প শুধু প্রযুক্তিগত নয়, রাশিয়া-বাংলাদেশ কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক অংশীদারত্বের একটি উজ্জ্বল নিদর্শন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশ জ্বালানি খাতে একটি নতুন যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে।

রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক সংস্থা ‘রোসাটম’ এর সহায়তায় নির্মিত হচ্ছে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র, যার প্রতিটি ইউনিটের উৎপাদনক্ষমতা ১২০০ মেগাওয়াট। ২০১৬ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্মাণকাজ শুরু হয় এবং বর্তমানে প্রকল্পের প্রথম ইউনিট পরীক্ষামূলক চালুর প্রস্তুতিতে রয়েছে।

উল্লেখ্য, রূপপুর প্রকল্প বাস্তবায়নে রাশিয়ার প্রায় ১২ বিলিয়ন ডলারের অর্থায়ন রয়েছে। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে বৃহত্তম অবকাঠামো প্রকল্পগুলোর অন্যতম।

 

অন্যান্য থেকে আরো পড়ুন