amrar আজ সোমবার | ০৪ আগস্ট ২০২৫ | ... |

সম্পর্ক

শত্রু নয়, বিপদ আসলে “আপন” নামধারীরাই!

প্রকাশ: ২১ মে ২০২৫ ১৯:২৫

আমরা অনেক সময় ভাবি, সবচেয়ে বড় বিপদ বুঝি শত্রুরা নিয়ে আসে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, চিহ্নিত শত্রু কখনোই আমাদের ততটা ক্ষতি করতে পারে না, যতটা পারে একজনে "কাছের মানুষ"—যাকে আমরা বিশ্বাস করি, ভালোবাসি, নিজের মত করে ভাবি।

শত্রুর প্রতি আমরা সচেতন থাকি,আপনের প্রতি থাকি নির্ভার।এটাই আমাদের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা, আর সেখানেই আঘাত হানে বিশ্বাসঘাতকতা।

ঘরের মানুষ যখন ছুরি চালায়, তখন তা শুধু পিঠে নয়—সরাসরি বুকে লাগে। কারণ তাতে ব্যথার সঙ্গে মিশে যায় অবিশ্বাস, অপমান আর হাহাকার।

প্রশ্ন হচ্ছে, উপায় কী?

বিশ্বাস করবেন, তবে চোখ বন্ধ করে নয়। আপন বলে কাউকে মাথার ওপর তুলবেন না। মানুষকে ভালোবাসুন, তবে স্পষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি রাখুন।
কে কী করছে, কী বলছে, তার পেছনে কী উদ্দেশ্য থাকতে পারে—ভাবুন, বিশ্লেষণ করুন। বিশ্বাস করুন বিচার-বুদ্ধির আলোয়, আবেগে নয়।

সতর্ক থাকুন, সন্দেহ নয়; সচেতনতা হোক অস্ত্র। কারো কথায় শুধু “আপন” বলে মুগ্ধ হয়ে যাবেন না। প্রশ্ন করুন, বুঝতে চেষ্টা করুন তাদের উদ্দেশ্য।
সবাই ভালো হতেই পারে না—এটাই বাস্তবতা।

সম্পর্কের নামে নিজের ক্ষতি করবেন না। অনেকেই সম্পর্কের দোহাই দিয়ে আমাদের সময়, সম্মান, সুযোগ—সবকিছু ব্যবহার করে।
সময়মতো না ‘না’ বলতে পারলে, একদিন আপনি নিজেই নিজের ক্ষতির কারণ হবেন।

চরিত্রের পরিচয় সময় দেয়, কান নয়। তাই কেউ আপনার কাছে কারো নামে কিছু বললেই বিশ্বাস করবেন না। দেখুন, বোঝার চেষ্টা করুন, ভাবুন—তারপর সিদ্ধান্ত নিন।

যেখানে ভালোবাসা থাকে, বিশ্বাসও থাকবে। কিন্তু সেই বিশ্বাসের জায়গা তৈরি হয় সময়, অভিজ্ঞতা আর সতর্ক পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে—not just blind emotion.

আজকাল অনেকেই বলে, “মানুষ চেনা কঠিন।” কিন্তু বাস্তবে মানুষ চেনা কঠিন নয়—আমরাই চেনার চেষ্টাটা করিনা, কারণ আমাদের আবেগ আমাদের চোখ ঢেকে দেয়।

নিজেকে ভালোবাসুন, নিজের আত্মসম্মানকে প্রাধান্য দিন। সম্পর্ক বড় হোক, কিন্তু আত্মবিক্রয়ের বিনিময়ে নয়। ভালোবাসা দিন, কিন্তু যেন সেটা আপনাকে অন্ধ না করে তোলে।
বিশ্বাস করুন, কিন্তু পরীক্ষিত হলে। অবিশ্বাস নয়, বুদ্ধিদীপ্ত সচেতনতা হোক আপনার চালিকাশক্তি। যে কথা বলার সাহস অনেকেই পায় না, আজ আপনি সেটাই বলুন। কারণ সমাজ বদলায় সচেতনতায়, আবেগে নয়।
 

সম্পর্ক থেকে আরো পড়ুন